Big Bang তত্ত্বের জনক বেলজিয়ামের বিজ্ঞানী জি. ল্যামেটার। ধারনা করা হয়, Big Bang বা মহাবিস্ফোরণের ফলে মহাবিশ্বে ছায়াপথ, গ্রহ, উপগ্রহ ইত্যাদির আবির্ভাব ঘটে প্রায় ১৫ শত কোটি বছর পূর্বে সৌরজগতের কেন্দ্রবিন্দু হলো সূর্য। সৌরজগতের একমাত্র আদর্শ ও তৃতীয় গ্রহটির নাম পৃথিবী ।
রাত্রিবেলা মেঘমুক্ত আকাশের দিকে তাকালে উজ্জ্বল আলোক বিন্দু মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায়, এদেরকে নক্ষত্র বলে।
ভূপৃষ্ঠের চারপাশে বেষ্টন করে যে বায়ুর আবরণ আছে, তাকে বায়ুমণ্ডল বলে। বায়ুমণ্ডলের গভীরতা প্রায় ১০,০০০ কিলোমিটার। বায়ুমণ্ডলের স্তরসমূহ- চারটি। যথা: ট্রপোমণ্ডল, স্ট্রাটোমণ্ডল, মেসোমণ্ডল ও তাপমণ্ডল।
পৃথিবী এবং অন্যান্য সমস্ত গ্রহ, সূর্য ও অন্যান্য তারা ও নক্ষত্র, জ্যোতির্বলয়স্থ স্থান ও এদের অন্তবর্তী গুপ্ত পদার্থ, ল্যামডা-সিডিএম নকশা, তমোশক্তি ও মহাশূণ্য (মহাকাশ)- যেগুলো এখনও তাত্ত্বিকভাবে অভিজ্ঞাত কিন্তু সরাসরি পর্যবেক্ষিত নয় এমন সব পদার্থ ও শক্তি মিলে যে জগৎ তাকেই বলা হচ্ছে মহাবিশ্ব বা বিশ্ব ভ্রম্মান্ড। আমাদের পর্যবেক্ষণ-লব্ধ মহাবিশ্বের ব্যাস প্রায় ৯৩ বিলিয়ন parsee (৩০০ বিলিয়ন light-year)। পুরো বিশ্বের আকার অজানা হলেও এর উপাদান ও সৃষ্টিধারা নিয়ে বেশ কয়েকটি hypotheses বিদ্যমান। এই মহাবিশ্বের উৎপত্তি সংক্রান্ত বিষয়কে বলে বিশ্বতত্ত্ব। বস্তুত, প্রতিটি সৃষ্টিই ঈশ্বরপ্রদত্ত।
মহাবিশ্বের উৎপত্তি, বিবর্তন এবং চূড়ান্ত পরিণতি নিয়ে গবেষণাকে বিশ্বতত্ত্ব বলে। মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও বিকাশ সম্বন্ধে যে। সব তত্ত্ব আছে, তার মধ্যে বহুল প্রচলিত হলো বিগ ব্যাঙ তত্ত্ব। কোটি কোটি বছর পূর্বে ছোট অথচ ভীষণ ভারী ও পরম বস্তুপিণ্ড বিস্ফোরিত হয়ে সকল দিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এই বিস্ফোরণকে মহাবিস্ফোরণ বলা হয়। মহাবিস্ফোরণ সংঘটিত হয়েছিল প্রায় ১৩.৭৫ বিলিয়ন বছর (১৩৭৫ কোটি বছর) পূর্বে এবং এটাই মহাবিশ্বের বয়স। মহাবিস্ফোরণের পর অতি ক্ষুদ্র পদার্থ কণা প্রথমে ছোট ছোট কণায় পরিণত হয়। তারপর ছোট ছোট কণাগুলো কিছুটা ঠাণ্ডা ও একত্রিত হয়ে জ্যোতিষ্কে পরিণত হয়। বেলজিয়ামের জ্যোতির্বিজ্ঞানী জি. লেমেটার (G. Lemaitre) বিগ ব্যাঙ তত্ত্বের প্রবক্তা। হাবল মহাবিশ্ব সম্পর্কে বলেন মহাবিশ্ব প্রতিনিয়তই সম্প্রসারিত হচ্ছে। পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং তাঁর বিখ্যাত A Brief History of Time গ্রন্থে পদার্থবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে বিগ ব্যাঙ তত্ত্বের ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন ।
জেমস ওয়েব মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্র বা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ( James Webb Space Telescope বা JWST) মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা, কানাডীয় মহাকাশ সংস্থা ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টায় নির্মিত একটি মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্র। এই টেলিস্কোপ প্রথম মহাবিশ্বের সম্পূর্ণ রঙ্গিন ছবি ধারনে সক্ষম হয়, নাসা প্রকাশ করে। ২০২২ সালে। মহাজগতের বয়স বলা হয় ১৩৮০ বছর। হাবল টেলিস্কোপের উত্তরসূরী বলা হয় জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপকে।
মহাশূন্যে অবস্থিত বস্তুসমূহকেই জ্যোতিষ্ক যা Astronomical Bodies বা স্বর্গীয় বস্তু বা Heavenly Bodies বলা হয়ে থাকে। জ্যোতির্বিজ্ঞান মহাবিশ্বে ভ্রাম্যমাণ জ্যোতিষ্ক বিষয়ক বিজ্ঞান। পৃথিবী ছাড়া অন্য সব বস্তুই এর অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে পৃথিবীসহ মহাবিশ্বের যাবতীয় বস্তুকে খ-বস্তু বা জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তু বা Astronomical Objects বলা হয় ।
আরও দেখুন...